মহেশখালীতে সাজাপ্রাপ্ত আরো দুই আসামিসহ গ্রেফতার ৪

কক্সবাজার জার্নাল প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের মহেশখালীতে নারী নির্যাতন ও প্রতারণা মামলার দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ছিনতাই, মারামারির অপরাধে জড়িত ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) গভীররাতে এসআই মহসীন চৌধুরী-পিপিএম, এসআই ফরাজুল, এএসআই শিবল সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, উপজেলার জাকিয়াঘোনা এলাকার মকবুল আহমেদের ছেলে সিআর ১৯৮/২২ (নারী নির্যাতন) মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. সাহাব উদ্দিন (৩২), বড় মহেশখালীর ফকিরাকাটা এলাকার মো. চৌধুরী মিয়ার ছেলে এসটি ৮০৪/১৮ (প্রতারণা) মামলার ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোজাম্মেল হক (৪৫) ও ঘটিভাঙ্গা এলাকার আবদুর রশীদের ছেলে জিআর ১৭৯/২৩ (ছিনতাই) মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী কোরবান আলী (২৫) এবং পশ্চিম পাড়া শাপলাপুর এলাকার জালাল আহমেদের ছেলে জিআর ১৭২/২৪ (মারামারি) মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মো. এখলাছ (৩৫)।

এই তথ্য নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তাজ উদ্দিন জানান, পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসাবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুই সাজাপ্রাপ্তসহ ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০ নভেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় ছোট মহেশখালী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বনমামলার ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দুল করিম (২৮) কে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) গভীররাতে থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি মামলায় একবছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও প্রতারণা, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও ১৮ নভেম্বর (সোমবার) অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও প্রতারণা, নারী নির্যাতন ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয় ও গেল রোববার ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি বেলাল হোসেন (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয় এবং শনিবার গভীররাতে থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদক, পাহাড় কাটা ও প্রতারণা মামলার ৪ সাজাপ্রাপ্তসহ ৭ আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, এসআই মহসীন চৌধুরী-পিপিএম মহেশখালী থানায় যোগদানের এক মাসের মাথায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ জন সহ ৬৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এর আগে তিনি চকরিয়া হারবাং থানায় কর্মরত থেকে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন এবং অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ এবং অনন্যসাধারণ পেশাদারিত্ব প্রদর্শনের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ পিপিএম পদক লাভ করেন।

আরও খবর